অন্যদিনের মতো আজও গোসল ও খানাপিনা সেরে কিতাববাদি-খাতা-কলম নিয়ে ছাত্রাবাস হতে ক্লাসরুমে প্রবেশ করি। ক্লাস শুরুর আর মাত্র পাচঁ মিনিট বাকি। ছাত্ররা নিজ নিজ আসনে বসে হুজুরের আগমনের অপথ- পানে অধীরে আগ্রহে চেয়ে আছে। দপ্তরী তৃতীয় তলায় ঝুলান ঘন্টায় দশটি আঘাত হানার সাথে সাথে প্রথম প্রিয়ডের হুজুর ক্লাসে আসবেন।কিন্তু আজ অন্যদিনের মতো ঘন্টাটি শোনা গেলোনা। এল পাগল ঘন্টার বিপদ ধ্বনি। পাগলা ঘন্টা শোনার সাথে সাথে ছাত্ররা যার যার কিতাবাদি যথাস্থানে রেখে দিয়ে ছুটল মসজিদপানে। এক এক করে অল্পক্ষণের মধ্যেই মসজিদটি কানায় কানায় ভরে গেলো। এখন কেউ আর রুমে নেই, নেই আঙিনায়। বড় হুজুর মলিনমুখে মিম্বরের হাতলে হাত রেখে আমাদের দিকে ফিরে দাঁড়ালেন।